
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলভিত্তিক দুটি শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা—বতসেলেম (B’Tselem) এবং ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (Physicians for Human Rights – Israel)। আজ সোমবার এক যৌথ প্রতিবেদনে তারা এই অভিযোগ তোলে এবং পশ্চিমা মিত্রদের দিকেও আঙুল তোলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়,
> “গাজায় বেসামরিক লোকজনের পরিচয় ফিলিস্তিনি হওয়াই তাঁদের অপরাধ। শুধুমাত্র এই জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতেই তাঁদের নিশানা করছে ইসরায়েল। এর ফলে সমাজে মারাত্মক এবং অনেক ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।”
📌 ইসরায়েলের অপরাধের বিবরণ
দুটি সংস্থার প্রতিবেদনে ইসরায়েলের নৃশংস কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ উঠে আসে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
হাজার হাজার নারী, শিশু ও বৃদ্ধের হত্যাকাণ্ড
লক্ষাধিক মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা
খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রেখে মানবিক সংকট সৃষ্টি
হাসপাতাল, স্কুল ও ঘরবাড়ি ধ্বংস
মৌলিক অধিকার যেমন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা
🗣 সরাসরি গণহত্যার অভিযোগ
বতসেলেমের নির্বাহী পরিচালক ইউলি নোভাক বলেন,
> “আমরা যা দেখছি তা গণহত্যারই নামান্তর। এটি একটি জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা। এখন সবার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত—‘গণহত্যার মুখে দাঁড়িয়ে আপনি কী করবেন?’”
অন্যদিকে ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস তাদের প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার বিষয়টিকে সামনে এনেছে। সংস্থাটির মতে,
> “স্বাস্থ্যসেবা খাত ধ্বংস করাও গণহত্যা সনদের ২(সি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি গণহত্যার উপাদান।”
🌍 পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা
দুটি সংস্থা সরাসরি অভিযোগ করে বলেছে, ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা এই গণহত্যায় সহায়তা করেছে।
নোভাক বলেন,
> “এই গণহত্যা পশ্চিমা বিশ্বের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হতো না। দুঃখজনকভাবে, কোনো পশ্চিমা নেতাই এটিকে থামাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।”