
দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিশ্চিত হলো এশিয়া কাপ ২০২৫ আয়োজনের ভেন্যু ও সময়সূচি। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও এবারের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রধান শহর—দুবাই এবং আবুধাবিতে। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ারর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর এবং চলবে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। এই আসরটি ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এশিয়া কাপ ২০২৫: অংশগ্রহণকারী দল ও ফেভারিট
এবারের এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মোট আটটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই দলগুলো হলো:
ভারত
পাকিস্তান
বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা
আফগানিস্তান
ওমান
সংযুক্ত আরব আমিরাত
হংকং
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে এবারের টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবে প্রবেশ করছে। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিল রোহিত শর্মারর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। সেই ম্যাচে মোহাম্মদ সিরাজ ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন। তবে, গত আসর ছিল ৫০ ওভারের ফরম্যাটে, আর এবারের আসর হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, যা দলগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ: ক্রিকেট বিশ্বের মহারণ
ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণ। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে কিছুদিন আগেও সংশয় ছিল। তবে, টাইমস অব ইন্ডিয়ারর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিসিআই নিশ্চিত করেছে যে ভারতীয় দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে এশিয়া কাপ ২০২৫ এর আকর্ষণ বহুগুণ বেড়ে গেছে। দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং আবুধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামএরএর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এই ম্যাচগুলোকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে।
কেন নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে দুবাই ও আবুধাবি?
সংযুক্ত আরব আমিরাত এর আগেও একাধিকবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে সফলভাবে আয়োজন করেছে। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম তাদের অত্যাধুনিক সুবিধা এবং লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। এই দুই ভেন্যুতে দর্শকদের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ এবং খেলোয়াড়দের জন্য উন্নতমানের পিচ ও স্টেডিয়াম সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
এশিয়া কাপ ২০২৫ এর তাৎপর্য
এবারের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি শুধুমাত্র একটি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাই নয়, বরং ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরের জন্য দলগুলোর প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। দলগুলো তাদের সেরা একাদশ এবং কৌশল পরীক্ষা করার সুযোগ পাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, এবং আফগানিস্তান এর মতো দলগুলো তাদের সম্ভাবনা প্রমাণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। এছাড়া, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এবং হংকং এর মতো উদীয়মান দলগুলোর জন্য এটি একটি বড় মঞ্চ।
অপেক্ষা কেবল সূচির জন্য
এখন ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এশিয়া কাপ ২০২৫ এর বিস্তারিত সূচি ঘোষণার জন্য। আয়োজকরা আশা করছেন, এই টুর্নামেন্ট মাঠের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, বিতর্কের মাধ্যমে নয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ইতিহাস, এবং ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে এই আসর।